১২ বছরে রেকর্ড মাত্রায় আমাজন ধ্বংস

২০২০ সালে রেকর্ড মাত্রায় আমাজন ধ্বংস হয়েছে। পরিবেশবিদরা এর জন্য দায়ী করছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইয়া বলসোনারোকে।

গত ১২ বছরের নিরিখে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস হয়েছে আমাজন জঙ্গল। মাত্র এক বছরে ১১ হাজার ৮৮ বর্গ কিলোমিটার জঙ্গল কেটে ফেলা হয়েছে বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। 

পরিবেশবিদরা এই ঘটনার জন্য আঙুল তুলছেন ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইয়া বলসোনারোর দিকে। তাদের দাবি, বলসোনারোই জঙ্গল কাটতে উৎসাহ দিয়েছেন।

পৃথিবীর মোট কার্বন নিঃসরণের একটি বড় অংশ টেনে নেয় আমাজনের জঙ্গল। যে কারণে এই জঙ্গলকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। প্রায় ৩০ লাখ গাছের প্রজাতি এবং জন্তু ও কীটপতঙ্গ রয়েছে এই জঙ্গলে। রয়েছে প্রায় ১০ লাখ জনজাতি। দীর্ঘদিন ধরে এই জনজাতিই জঙ্গলকে রক্ষা করে চলেছে। সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গলকেও। কিন্তু গত দুই দশকে জঙ্গল কাটার প্রবণতা খানিক কমেছে। তার সবচেয়ে বড় কারণ, বিশ্ব জুড়ে পরিবেশ সচেতনতা বেড়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে ও হচ্ছে। 

পরিবেশবিদদের বক্তব্য, আমাজনের জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে।

সমস্যা হলো, ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বলসোনারো পরিবেশ নিয়ে তত চিন্তিত নন। প্রকাশ্যেই তিনি আমাজন ধ্বংসের সপক্ষে সওয়াল করেন। ২০১৯ সালে আমাজন অঞ্চল থেকে খনিজ সম্পদ সংগ্রহের জন্য জঙ্গল কাটার ছাড়পত্র তিনি দিয়েছিলেন। আমাজন অঞ্চলে চাষবাসের ছাড়পত্রও তিনি দিয়েছেন। যা নিয়ে বহু প্রতিবাদ হয়েছে।

পরিবেশবিদদের বক্তব্য, ২০০৮ সালে আমাজনের সাত হাজার ৫৩৬ বর্গফুট ধ্বংস করা হয়েছিল তথাকথিত উন্নয়নের জন্য। তখনো বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক হয়েছিল। এরপর আমাজন রক্ষার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল। ২০১৯ সালে বলসোনারো ক্ষমতায় এসে সেই সমস্ত সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন করে জঙ্গল ধ্বংস করতে শুরু করেছেন। 

পরিবেশবিদরা বলছেন, যেভাবে জঙ্গল নষ্ট হয়েছে গত এক বছরে, তা যদি চলতে থাকে, তা হলে অচিরেই এর প্রভাব আবহাওয়ায় পড়তে শুরু করবে। -ডয়চে ভেলে

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //